স্বদেশ ডেস্ক:
গত তিন বছরে নিউইয়র্ক রাজ্যে কারাবন্দির সংখ্যা দ্রুত হারে কমছে। নিউজার্সি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ওয়াশিংটন বাদ দিলে নিউইয়র্কেই সবচেয়ে দ্রুত কমছে কারাবন্দি লোকের সংখ্যা।
এম্পায়ার স্টেট কারাগার এবং স্থানীয় জেলখানাগুলোর মোট বাসিন্দা ২০১৯ সালে যেখানে ছিল ৬৪,৩০৬ জন, ২০২২ সালে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪৭,০০৩ জনে। তিন বছরে কারাবন্দি কমেছে ২৬.৯ ভাগ। ভেরা ইনস্টিটিউট ফর জাস্টিজ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্কের কারাবন্দি নিয়ে জ্যাকব ক্যাংক-ব্রাউনের ৩০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শ্রমিকের চাহিদা বাড়ায় সম্ভবত কারাবন্দির সংখ্যা কমে আসতে সহায়তা করছে।’
এতে বলা হয়, ‘যথাযথ সহায়তার মাধ্যমে কারাবন্দির সংখ্যা কমা কর্মী স্বল্পতা দূরে সহায়তা করতে পারে, বৈষম্য কমাতে সাহায্য করতে পারে।’
তবে নিউইয়র্কে কারাবন্দির সংখ্যা কমার সঠিক কারণটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে জামিন আইনে সংস্কারের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি এবং বেকারত্ব কমায় এতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে হচ্ছে।
নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাটর সম্প্রতি ‘ক্লিন স্টেট’ বিল অনুমোদন করেছে। এই আইনটি পাস হলে কারাদ- ভোগকারী ব্যক্তিদের অপরাধ রেকর্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে গোপন থাকবে। তবে গভর্নর ক্যাথি হোকুল এই বিলে সই করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
তবে এই বিলের বিরুদ্ধে স্টেট সিনেটর জর্জ বরেলো মন্তব্য করেছেন যে ‘আমার ডেমোক্র্যাট সহকর্মীরা অপরাধ কমানোর দিকে নজর দিচ্ছেন না। তারা কেবল কারাগার থেকে অপরাধীদের মুক্তি দিতে চাচ্ছেন। আর এর ফলে অপরাধ বাড়তে দেখছি।’
অন্যদিকে অ্যাসেম্বলি মাইনরিটি নেতা উইলিয়াম বার্কলে ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘কারাগারের জনসংখ্যা হয়তো কমছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে অপরাধের সংখ্যা কিন্তু কমছে না।’
উত্তর-পূর্বের আরো কয়েকটি নীল রাজ্যে কারাবন্দির সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাসাচুসেটস ও কানিকটিকাট। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই দুই জায়গায় কারাবন্দি কমেছে যথাক্রমে ২৪.৩ ও ২১.৩ ভাগ করে।
করোনার কারণে কারাবন্দির সংখ্যা কমতে সহায়ক হয়েছে। এর জের ধরে সারা দেশেই কারাবন্দির সংখ্যা কমেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একমাত্র আলাস্কাতেই কারাবন্দির সংখ্যা বেড়েছে।